মাথা নীচু করে বসে থাকা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে তার বাবা গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, “নিজে পড়ে জয়েন্টে ভালো rank করেছো ঠিকই কিন্তু পড়তে তো হবে প্রাইভেটেই…! আবার তোমার ভাইও বলেছে ইঞ্জিনিয়ারিংই পড়বে। এত খরচা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তুমি জেনারেলে গ্রাজুয়েশনটা করো। আর অমিয় বাবুর সাথে কথাটা বলাই আছে। বিয়েটা হয়ত সেকেন্ড ইয়ারেই হয়ে যাবে তোমার। ছেলে হিসাবে তোমার ভাইএর চাকরী পাওয়াটা বেশী দরকার।”
২০ বছর পর –
টেলিফোনে মেয়ের কান্নার আওয়াজ- “বাবা আমায় ক্ষমা কর। আর আমাদের বাড়িতে কোনদিনও এসো না। তোমার শেষ কেমোথেরাপির পর তোমার জামাই অমর কে বলেছিলাম, বাবা এরপর থেকে আমাদের সাথেই থাকুক, ভাইও বিদেশে। তার উত্তরে আমাকে বললো, ‘নিজের তো এক পয়সা রোজগার করার মুরোদ নেই, একটা পাতি গ্রাজুয়েট…এখন নিজের সাথে সাথে নিজে বাবাকেও আমার ঘাড়ে….লজ্জা করল না বলতে‘?”
Writer : Unknown
Advertisements