মধুপুর ও ডেঙ্চি বাবুরা

মধুপুর, শিমুলতলা এককালে বিখ্যাত ছিল হওয়া বদলের বা চেঞ্জের জায়গার কারণে। আগে কলকাতার এলিট বাঙালিরা হওয়া বদলের জন্য নিয়মিত আসা যাওয়া ছিলো। মধুপুর, শিমুলতলার সঙ্গে আরেকটু পশ্চিমে জব্বলপুর ছিল জল হওয়া পরিবর্তনের আরেক জায়গা । তখন বাঙালিরা রোগ ভোগের পর বা বৎসরান্তে এক দুবার জল ও হওয়া বদলের জন্য আসতেন। এখানের জলে পেটের অনেক রোগ সেরে যেত। দীর্ঘ রোগভোগের পর সাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ডাক্তার বাবুরাও এখানে আসার পরামর্শ দিতেন। সেইসব কারণেই তখনকার সমাজের এলিট ক্লাস এখানে বাড়ী তৈরি করেছিলেন।

শীতকালে সবাই আসতেন ঠান্ডা উপভোগ করার জন্য, আর শীতকালের টাটকা শাকসবজির জন্য। এখানের দাম কলকাতার তুলনায় খুবই সস্তা। কলকাতার বাবুরা সেই দাম শুনে বলতেন damn cheap, damn cheap. সেই ড্যাম চিপ শুনে শুনে আদিবাসী বিক্রেতারা বলতেন ডেঙচি বাবুরা এসেছেন। এইভাবে তখন কলকাতার ডেংচি বাবুরা মধুপুরে প্রতিবছর এসেছেন। হয়তো এখন আর সেরকম আসে না। চেঞ্জ এ আসার সেই সামর্থ সময় আর নেই। যারা বাড়ী তৈরি করেছিলেন তারাও আজ আর নেই। বাড়িগুলো কালের সাক্ষী হয়ে অবহেলায় দাড়িয়ে আছে। তাদের বংশধরেরা সেই সম্পত্তি রক্ষা করার তাগিদ, সময় ও সামর্থও হয়তো হারিয়েছেন। কালক্রমে অনেকে সেই সম্পত্তিও হারিয়েছেন। জমি মাফিয়াদের সফট টার্গেট এইসব সম্পত্তিগুলো।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস গৃহদাহ পড়ে জব্বলপুরে হাওয়া বদলের কথা জেনেছিলাম। আমার চাকুরিসুত্রে সেই জব্বলপুরে দুবছর থাকার সুযোগ হয়েছিল। এই পোস্টিং আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। কলকাতা থেকে পেটের নানান রোগ নিয়ে এখানে এসেছিলাম। বিনা চিকিৎসায় পুরো সিস্টেম সুস্থ হয়ে গেল কিছুদিনের মধ্যে। আমার যা complication গুলো ছিল সব ঠিক হয়ে গেল, হজমশক্তি বাড়লো, খিদে বাড়লো এবং হারানো সাস্থ্যও ফিরে পেলাম। কলকাতা থাকাকালীন যেসব রোগ অর্জন করেছিলাম তা একসময় ভুলে গেলাম। এই সুস্থতা আমাকে কোন ওষুধই দিতে পারত না যদি না আমার জব্বল্পুরে দুই বছর থাকার সুযোগ হতো। আমার জীবনে এই ম্যাজিক ঘটে যাবার পর আমি বিশ্বাস করি এইসব জায়গার জলের গুণ।

চাকুরিসূত্রে জব্বলপুরে থাকলেও সাস্থ্য উদ্ধারের জন্য কখনো মধুপুরে থাকা হয়নি। তাই এবার হটাৎ করেই এলাম শর্ট ট্রিপে। এখানে একটা guest house এ উঠেছি। এটাও কলকাতার বাঙালিদের সম্পত্তি ছিল এখন হস্তান্তর হয়ে বাঙ্গালীদের হাতেই রয়েছে।

এককালে এখানে প্রচুর বাঙ্গালীদের বিশাল বিশাল বাড়ী ছিল বা এখনও কিছু অবশিষ্ট আছে, আগেই বলেছি। স্বপ্নদিয়ে তৈরী সেই সব বাড়ি যা আজও দাড়িয়ে আছে অতীতের সাক্ষী হয়ে, সেগুলোর কিছু ছবি share করলাম।

ABOVE : Now it is a play ground. But it was, once upon a time, a palacial building made by Sir, Ashutosh Mookherjee. The building was named after his father’s name ” Gangaprasad Bhawan” (গঙ্গাপ্রসাদ ভবন). The palacial building is no more in existence at the site except the well which was named as “Gangadhar Koop” (গঙ্গাধর কুপ). Thank God that the marble plaque on which “Gangadhar koop” inscribed, still standing as witness of the history. The Bhawan has been ruin to dust and the property is now a play ground as in the picture above.

About Ashutosh Mookerjee who was known Ashu Babu in Madhupur. Asutosh Mookerjee) (29 June 1864 – 25 May 1924) was a prolific Bengali educator, jurist, barrister and mathematician. He was the first student to be awarded a dual degree (MA in Mathematics and MSc in physics) from Calcutta University. Perhaps the most emphatic figure of Indian education, he was a man of great personality, high self-respect, courage and towering administrative ability. The second Indian Vice chancellor  of the University of Calcutta for four consecutive two-year terms (1906–1914) and a fifth two-year term (1921–23), Mukherjee was responsible for the foundation of the Bengal Technical Institute in 1906, which was later known as Jadvpur University and the University College of Science (Rajabazar Science College) of the Calcutta University in 1914.

The house should have been declared as a heritage one and made a museum in memory of such a personality. But he was also not spared by the local land mafias.