প্রার্থনা

তোমার বাহুর বন্ধনে বাঁধো মোরে,

রাখ মোরে তোমার দৃষ্টিতে,

দিয়োনা যেতে আমারে দূরে।

হতে দিয়োনা আমারে শিকার,

নিয়ে চল দূরে কোথাও,

প্রেমে যেন পড়ি না আবার।

বাঁধো মোরে তোমার আলিঙ্গনে,

বাহুপাশে কর মোরে বন্দী,

যেতে দিয়োনা আমারে বিপথে।

হতে দিয়োনা আমারে শিকার,

নিয়ে চল দূরে কোথাও,

প্রেমে যেন পড়ি না আবার।

~~~~~~~~

31 Dec 2016, Copyright © Bichitraa 2016, all rights reserved.

Take me away” by Asha inspired me to compose this poem in Bengali.

কাজলা দিদি

আমরা ছাত্রাবস্থায় কিছু কবিতা পড়েছিলাম, কিছু কিছু এখনও মনে গেঁথে আছে। সেরকমই একটা কবিতা এখানে দিলাম, আশা করি আপনাদের পুরানো স্মৃতি উস্কে দেবে, হয়ত ভাল লাগবে —

কাজলা দিদি

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই–
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই ?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে
থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,–
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?

সে দিন হতে দিদিকে আর কেনই বা না ডাকো,
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো ?
খাবার খেতে আমি যখন
দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসেনাকো,
আমি ডাকি, – তুমি কেন চুপটি করে থাকো ?

বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
দিদির মতন ফাঁকি দিয়ে
আমিও যদি লুকাই গিয়ে–
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে?
আমিও নাই, দিদিও নাই – কেমন মজা হবে!

ভুঁইচাঁপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল;
ডালিম গাছের ডালের ফাঁকে
বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিয়ো না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল;–
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবে কি মা বল!

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ ঊঠেছে ওই–
এমন সময়,মাগো,আমার কাজলা দিদি কই?
বেড়ার ধারে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে ;
নেবুর গন্ধে ঘুম আসেনা -তাইতো জেগে রই;-
রাত হল যে,মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
By : যতীন্দ্রমোহন বাগচী